আখাউড়া স্থলবন্দরে বৃদ্ধি পেয়েছে রপ্তানি

আখাউড়া স্থলবন্দরে বৃদ্ধি পেয়েছে রপ্তানি, যা বছরে ১০০ কোটি টাকা। এই ধারা টিকে থাকলে বৈদেশিক মুদ্রা আহরণে বেশি ভূমিকা রাখবেন স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা।

এ বিষয় আরো জানা গেছে, আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে প্রায় ৪০টি পণ্য রফতানি হয়ে থাকে। রফতানিকৃত এসব পণ্য উত্তর পূর্ব ভারতের ত্রিপুরা, আসাম, মেঘালায়, মিজোরাম, মনিপুরসহ সাতটি রাজ্যে নেয়া হয়। এসব পণ্যের সবচেয়ে বেশি রফতানি হয় মাছ, শুঁটকি, পাথর, সিমেন্ট, তুলা, প্লাস্টিক সামগ্রী, চিপস ইত্যাদি। অপর দিকে বাংলাদেশে আমদানিকৃত পণ্য হলো— পেপার বোর্ড, সাতকরা ও প্লাস্টিক বর্জ্য ইত্যাদি। আখাউড়া স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, ২০১১-১২ অর্থবছরে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৪০৮কোটি ৪৮ লক্ষ ৭৩ হাজার টাকা মূল্যমানের পণ্য ভারতে রফতানি হয়েছে। ২০১০-১১ অর্থবছরে রপতানির পরিমাণ ছিল ৩১০ কোটি ১৩ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা এবং ২০০৯-১০ অর্থবছরে রফতানি হয় ২১৪ কোটি ৫৫ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকার পণ্য। ২০১২ সালের জুলাই ১২ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত রফতানি হয়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকার পণ্য। অন্যদিকে ২০১১-১২ বছরে আমদানি হয়েছে ১৭২ মে.টন পণ্য। ২০১০-১১ অর্থবছরে যার পরিমাণ ছিল ৩৩৫ মে.টন। আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে ভ্রমণকারী যাত্রীর সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। ভ্রমণ কর থেকে বছরে অর্ধ কোটি টাকা আয় হয়। ২০১২ সালে ভ্রমণ কর থেকে আয় হয়েছে ৫৩ লক্ষ ২২ হাজার টাকা। ২০১১ তে ভ্রমণ কর পাওয়া যায় ৪৬ লক্ষ ৮১ হাজার টাকা। ২০১২ সালে এ বন্দর দিয়ে ভারতে গমন করেছেন ১৮ হাজার ভ্রমণকারী।

স্থল বন্দরের রপতানি আরো বাড়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু ত্রিপুরায় ডাম্পিং পে¬স (পণ্য ওঠা নামার জায়গা) না থাকা, রাস্তার ওপরে লোড-আনলোড হয়, এজন্য রফতানি কিছুটা কমে গেছে। ভারতে যদি ডাম্পিং পে¬স তৈরি করা হয়, তাহলে রফতানি আরো বাড়বে।

এ বিষয় আরো জানা গেছে, দিন দিন এ বন্দর দিয়ে রফতানি বাড়ছে, ভবিষ্যতে আরো বাড়বে।

Related Posts

About The Author

Add Comment